হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন নির্যাতনের খবর উঠে আসছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন নির্যাতনের খবর উঠে আসছে।
এতদিন কে কোথায় কিভাবে নি-র্যাতনের শি-কার হয়েছে তার খবর পড়ে আমরা শি-উরে উঠছি। সেই সব নির্যা-তিতের পাশে মানুষ দাড়াচ্ছে, নি-পীড়কদের বিচার দাবী করছে। দল-বল তৈরী করে নির্যা-তনকারীকে ধরছে।
হ্যা, এটা ঠিক অনেক মানুষ নির্যা-তিত হয়েছে। নতুন বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে সেই নিপী-ড়কদের ঠাই নাই। কিন্তু - সত্যি যদি বলেন, সবচেয়ে বেশি নির্যা-তিত মানুষ কারা জানেন ? কারা প্রতিনিয়ত নির্যা-তিত নিপী-ড়িত হয়েছে ? কাদেরকে প্রতিনিয়ত ক-ষ্ট সহ্য করতে হয়েছে ? একজন দুইজন নয়, বরং অসংখ্য মানুষ কাদের নিপী-ড়ন করেছে ? কারা নিজেদের কষ্টের কথা মুখ বুঝে সহ্য করে গেছে ? যে কথা কাউকে বলতে পারেনি, বুকের কষ্ট, বুকেই লুকিয়ে রেখেছে ?
হ্যা, সেই সব নির্যা-তিতা হচ্ছেন বাংলাদেশের অসংখ্য মা-বোন, যারা ধর্মীয় কারণে হয়ত হিজাব, নেকাব বা বোরকা পরিধান করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র তাদের প্রতিনিয়ত নির্যা-তিত হতে হয়েছে, তাদের প্রাইভেসীর অধিকার লঙ্ঘন করে তাদের কাপড় ধরে টানাটানি করা হয়েছে। মুখের কাপড় না খুললে পরীক্ষা দিতে পারবে না, কান-চুল না দেখালে ক্লাস-ভাইভা-পরীক্ষা হবে না, জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে না, সম্পত্তির অধিকার পাবে না, আরো কত কিছু !
প্রতিনিয়ত শুনতে হয়েছে- “হিজাব নেকাব পর ? তুমি কি বাসায় বো-মা বানাও ? দেশটা আফ-গানিস্তান হয়ে গেলো, তুমি কি জ-ঙ্গী ? তোমাকে চিনবো কিভাবে ? তুমি কি চোর, মুখ লুকাও কেন ? দেশটাকে কেন পিছিয়ে দিচ্ছো ? বোরকা পরে খারাপ মেয়েরা, তুমি কি সা-নি লি-ওন ? পাকি-স্তান চলে যাও, বাংলাদেশে কি করো ? পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, আর তুমি ১৪০০ বছর আগে পরে আরো ?”..........................ইনিফিনিটি, ইনিফিনিটি। ।
যারা এসব কথা বলে, সেই সব মা-বোনকে একদিন ইচ্ছাকৃত কষ্ট দিয়েছে, নানান উপায়ে নিপীড়ন করেছে, তাদের এত সহজে ছেড়ে দিয়েন না। এদের ছেড়ে দিয়ে কখনই বৈষম্যহীন পৃথিবী তৈরী হবে না। প্রকৃত বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে চাইলে এসব বি-কৃত রূচির মানুষগুলোকে ধরা দরকার আগে। খুব শক্ত করে ধরা দরকার। ঐ নিপী-ড়ক যেখানেই থাকুক, সবাই একত্র হয়ে তাদের শক্ত বিচার করুন।
No comments