প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতিকে বিভক্ত করেছে

প্রধান উপদেষ্টা ইউ-নুস বার বার বলছে, জাতি যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে।




প্রধান উপদেষ্টা ইউ-নুস বার বার বলছে, জাতি যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে। কিন্তু সেই ইউনুস-ই তার বক্তব্যে ‘আদিবাসী’ শব্দ উচ্চারণ করে, জাতিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। আদি-বাসী-বাঙালী মারা-মারির পথ উন্মুক্ত করেছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, বর্তমান নতুন সর-কারের সমর্থনে বেশি কাজ করছে জেনারেশন জেড, যাদের বয়স ১৬-২২ বছর। যারা অনেকেই পাহাড়ের ইতিহাস সম্পর্কে বে-খবর। তাই ইউনুস আদিবাসী শব্দ উচ্চরণ করে দেশের কী সর্বনাশ করেছে তা এ প্রজন্ম ধরতেই পারেনি। তাই কেউ ইউনুসের আদিবাসী কথার বিরোধীতা করলেই তাকে আওয়ামীলীগ ট্যাগ দিচ্ছে। ভাবতেছে এটা মনে হয়, আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র।

কিন্তু এ প্রজন্ম জানেই না, পাহাড়ের স-মস্যা দূরীকরণে সবচেয়ে কাজ করেছে বি-এনপির জিয়া-উর রহমান। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের পাবর্ত্য এলাকার দেশবিরোধী ষড়-যন্ত্র ন-স্যাৎ করা। আর সেই দেশ বি-রোধী ষড়-যন্ত্র উস্কে দেয়া হয়েছে আদি-বাসী শব্দ উচ্চারণ করে।

মূলতঃ আদিবাসী শব্দ শুনতে শ্রুতিমধুর শোনালেও এর মধ্যে রয়েছে গভীর ষড়-যন্ত্র।

কোন জাতিকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, ঐ জাতি স্বায়ত্ব-শাসন দাবী করতে পারে, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক হস্ত-ক্ষেপ চাইতে পারে। গণভোট করে পৃথক রাষ্ট্রের দাবী করতে পারে। যে ঘটনা ঘটেছে সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন করে দক্ষিন সুদান এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব তীমুরের ক্ষেত্রে। প্রথমে মিশনারীদের কাজ, অতঃপর রাষ্ট্রকে দুই টুকরা করা। মাঝ দিয়ে হয়ে গেছে মুসলিম গণ-হ-ত্যা। আপনারা তো জানেন, বহু আগে থেকেই পাহাড়ে খ্রি-স্টান মিশ-নারীরা এসে উপজাতিদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্ত-রিত করছে। এখন পশ্চিমা সমর্থিত ইউ-নুস আদি-বাসী ঘোষণা করে তাদের দেশ খণ্ডনের কাজটা অনেক সহজ করে দিলো।

আপনারা খেয়াল করবেন, ইউ-নুসের বক্তব্যের পর পাহাড় আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বাঙালী আর উপ-জাতিরা পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ করছে। ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। যে কোন সময় পাহাড়ের বাঙালী আর উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।

এ ক্রান্তি লগ্নে জাতিকে বাঙালী আর আদি-বাসীতে ভাগ করে ইউনুস কাজটা মোটেই ঠিক করেনি। সে দেশে মা-রামা-রি হানা-হানি উস্কে পরিস্থিতি আরো বে-সামাল করেছে, যা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আরো ঘো-লাটে করবে।

No comments

Powered by Blogger.